ইফতার কেন খেজুর খেয়ে শুরু!

শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। রোজা রেখে খেজুর খেয়ে ইফতার শুরু করা সুন্নত।তাই রমজানে খেজুরের কদর বেড়ে যায়। খেজুর না থাকলে আমাদের ইফতার যেন পরিপূর্ণ হয় না। কিন্তু কী আছে এই খেজুরে, আমরা কেন এত গুরুত্বের সঙ্গে খেজুর খাই? আমরা হয়তো অনেকেই জানি মিষ্টি মধুর ছোট এই ফলটির গুণের কথা।

আর যারা না জেনেই খেজুর খাই, তারা আজ জেনে নিন।বলা হয়ে থাকে বছরে যতোগুলো দিন আছে, খেজুরে তার চেয়েও বেশি গুণ রয়েছে। খেজুর যেমনি সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর ফল। অ্যামিনো অ্যা”সি’ড, প্রচুর শক্তি, শর্করা ভিটামিন, মিনারেল সমৃদ্ধ খেজুর খেলে:

• খাদ্যশক্তি থাকায় দু’র্ব’ল’তা দূর হয় • খেজুর স্না’য়ুবিক শক্তি বৃদ্ধি করে • রোজায় অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকা হয় বলে দে’হে’র প্রচুর গ্লুকোজের দরকার হয় • খেজুরে অনেক গ্লুকোজ থাকায় এ ঘাটতি পূরণ হয় • হৃদরোগীদের জন্যও খেজুর বেশ উপকারি

• খেজুরের প্রচুর খাদ্য উপাদান রয়েছে • খেজুর রক্ত উৎপাদনকারী • হজমশ’ক্তি বর্ধ’ক, যকৃৎ ও পাকস্থলীর শ’ক্তিব’র্ধক • রুচি বাড়ায় • ত্বক ভালো রাখে • দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় • খেজুরের আঁশ কো’লে’স্টে’রল কমাতে সাহায্য করে

• পক্ষঘাত এবং সব ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্য উপকারী • ফুসফুসের সুরক্ষার পাশাপাশি মুখগহ্বরের ক্যান্সার রোধ করে • অ’ন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান জন্মের সময় খেজুর খেলে জরায়ুর মাংস’পেশির দ্রুত সংকোচন-প্র’সারণ ঘটিয়ে, প্র’স’ব হতে সাহায্য করে

• এছাড়াও এ ফল প্র’সব-পরবর্তী কোষ্ঠকা’ঠিন্য ও র’ক্তক্ষ’রণ কমিয়ে দেয়। খেজুরের উপকারিতায় হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অনেক বাণী এসেছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেহ সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন তাকে কোনো বিষ ও যাদু ক্ষতি করতে পারবে না। আজওয়া খেজুর হলো মদিনার উৎকৃষ্ট মানের খেজুর। ’ -সহিহ বোখারি ও মুসলিম